মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান একটি সমস্যা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করার প্রধান জীবাণুটি হলো ব্যাকটেরিয়া। তবে ছত্রাক এবং ভাইরাসও এ ধরনের প্রদাহ ঘটায়। মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছে থাকে বলে সহজেই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। ই-কলাই নামক জীবাণু শতকরা ৭০-৮০ ভাগ প্রস্রাবের প্রদাহের কারণ। অনেক সময় যৌন সঙ্গমের কারণেও জীবাণু মূত্রনালীতে প্রবেশ করে। এসব জীবাণু মূত্রনালীপথে মূত্রথলিতে ও কিডনিতে প্রবেশ করে।
এক্ষেত্রে শুধু প্রস্রাবে জ্বালাপোড়াই করে না, বার বার প্রস্রাবের বেগ হয়, ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব পড়ে। প্রস্রাবের রঙ ধোঁয়াটে, দুর্গন্ধযুক্ত ও পরিমাণে কম হয়। মাঝে মাঝে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। যৌনকাজে অনিচ্ছা জাগে। অনেক সময় শরীরে জ্বর আসে। মাঝে মাঝে বমি হতে পারে। নববিবাহিত মেয়েদের মধুচন্দ্রিমা যাপনকালে প্রস্রাবের প্রদাহ হতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা প্রস্রাবের প্রদাহে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রচুর পানি খেতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শমতো। এ সময় সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে?
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানির পরিমাণ এত বেশি হতে হবে যাতে দৈনিক কমপক্ষে দুই লিটার প্রস্রাব তৈরি হয়। দিনের মধ্যে দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে প্রস্রাব করতে হবে। কখনো প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে জাগার পর প্রস্রাব করতে হবে।
সহবাসের পর পানি দিয়ে ভালোভাবে প্রস্রাবের রাস্তা ধুয়ে ফেলতে হবে।
মলত্যাগের পর শৌচকাজ সতর্কতার সাথে করতে হবে যাতে ঐ পানি প্রস্রাবের রাস্তায় না আসে।
মেয়েদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
on
Hi
ReplyDeleteClick to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.